ঢাকা: রাজধানী ঢাকাকে নতুন রূপে সাজাতে রাজউক ২০ বছর মেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকাকে নবরূপে সাজাতে রাজউক কর্তৃক ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান ২০১৬-২০৩৫ তথা ২০ বছর মেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ কৌশলগত পরিকল্পনার দিকনির্দেশনার আলোকে ঢাকা মহানগরীর ভবিষ্যত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত ও বাস্তবায়িত হবে।
রাজউক কর্তৃক এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই প্ল্যান প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বর্তমানে প্রকল্পের গণশুনানি কার্যক্রম চলছে। গণশুনানি শেষে প্রাপ্ত মতামত, সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণের আলোকে স্ট্রাকচার প্ল্যানটি চূড়ান্ত করা হবে।
আশা করা যায়, ২০১৫ সালের নভেম্বর নাগাদ পরিকল্পনাটি চূড়ান্তভাবে গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। এ পরিকল্পনায় আগামী ২০ বছরের জন্য ঢাকা শহরের যানজট নিরসন, আবাসন সমস্যার সমাধান, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ ভূমি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে। ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান বাস্তবায়ন কার্যক্রম ২০১৬ সাল থেকে শুরু করা হবে।’
ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর আরেক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, আব্দুল্লাহপুর থেকে শুরু হয়ে ধউর-বিরুলিয়া-গাবতলী-বাবুবাজার, সদরঘাট-ফতুল্লা-চাষাড়া, সাইনবোর্ড-সিমরাইল-ডেমরা-পূর্বাচল সড়ক তেরমুখ হয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ, লেন বিশিষ্ট ও ৫ মিটার বিভাজকসহ একটি বৃত্তাকার সড়ক এবং এর পাশ দিয়ে নৌ-রুটসহ ঢাকা সার্কুলার রুট নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এর বাস্তবায়ন বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি জানান, ডেমরা থেকে তেরমুখ পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার অংশে বর্তমানে কোনো সড়ক বা বাঁধ না থাকায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে লিড এজেন্সি করে সংশ্লিষ্ট অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা সমন্বিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম ইস্টার্ন বাইপাস বহুমুখী প্রকল্পটি ঢাকা সার্কুলার রুট : ফেজ-১ আখ্যায়িত করে একটি পিডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এই কাজের আরো বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, ‘এই কাজ সম্পাদন দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল কার্যক্রম। এ কাজের মাধ্যমে ঢাকার যানজট, জলাবদ্ধতা ও নদীদূষণ দূর করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর।’